নদীর কাতল মাছ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সতেজ রাখে এবং শক্তি বৃদ্ধি করে।
শরীরের রক্ত চলাচল ঠিক রাখা, কফ ও কাশী জনিত রোগ থেকে বাচাঁয় এবং এ্যাজমা ও হাঁপানি রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখে।
বাত জনিত সকল রোগের জন্য নদীর কাতলা বিশেষ উপকারী।
এই মাছের মধ্যে প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন-এর মধ্যে সর্বোত্তম প্রোটিন মায়োফাইব্রিলার। এটি মাছের মধ্যে থাকে ৭৫%। আর যেটি সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোটিন স্ট্রোমা। এই প্রোটিনটি থাকে ২-৩% এর মতো। ১০টি প্রটিনের মধ্যে সর্বোত্তম চারটি প্রোটিন-ই মাছের মধ্যেই পাওয়া যায়। যথাক্রমে- লাইসিন মিথাওনিন, আরজিনিন, টিপট্রোফ্যান। এই চারটি প্রোটিন-ই পর্যাপ্ত পরিমাণ-এ পাওয়া যায়।
প্রোটিন ছাড়াও কাতলা মাছের মধ্যে চারটে ভিটামিন পাওয়া যায়। যথাক্রমে- ডি, ই, কে। এগুলি ছাড়াও ভিটামিন বি-১২ এর মত দুষ্প্রাপ্য ভিটামিন পাওয়া যায়।
এছাড়াও মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ-এ পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, দস্তা, আয়রন, সিলেনিয়াম ইত্যাদি মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ-এ থাকার জন্য সব দিক থেকেই পুষ্টিগুণ-এ ভরপুর মাছ।
কাতলা মাছ বেশিরভাগ মানুষই পছন্দ করেন। কাতলা মাছে প্রায় ২.৩ মিলিগ্রাম আয়রন আছে, যা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। আয়রন-এর ঘাটতি মেটাতে কাতল মাছের তুলনা হয় না।
গবেষণায় দেখা গেছে কাতলা মাছের শরীরে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পক্ষে খুবই উপকারী। ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার ফলে ভাল হরমোন-এর ক্ষরণ শুরু হয় তার ফলে শরীর ও মন দুই ভাল থাকে। মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার জন্য নিয়মিত কাতলা মাছ খাওয়ার প্রয়োজন।