লাল আটার গুনাগুণ
লাল আটা, সাদা আটা যেটাই বলি না কেন এর সবই আসে গম থেকে। গম পরিশোধন করে খোসা ফেলে দিয়ে ভাঙানো হলে সাদা আটা পাওয়া যায়। আর পরিশোধন না করে খোসাসমেত গম ভাঙালে পাওয়া যায় লাল আটা। মূলত গমের উপরিভাগের আবরণের কারণেই আটা দেখতে লালচে হয়। এই লালচে আবরণই মূলত উপকারি। এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের দেহের ৩০০ রকমের এনজাইমের কাজ করে। গমের লাল আবরণে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে। লাল আটায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেড ও আঁশ বেশি থাকে। উল্টো দিকে আবার ক্ষতিকর ফ্যাট ও ক্যালরি কম। লাল আটায় থাকা উল্লেখযোগ্য উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে ফসফরাস, ফলিক এসিড, জিংক, কপার, ভিটামিন বি১, বি২ ও বি৩। সাধারণত পুষ্টিকর খাবারে পাঁচ ধরনের উপাদান থাকে—শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল। যেকোনো ধরনের শস্যদানায় এই উপাদানগুলো থাকে, যেগুলো আমাদের দেহে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে অর্থাত্ শক্তি জুগিয়ে থাকে এবং কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
লাল আটায় খাদ্য আঁশ রয়েছে যা আমাদের শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বকের সুস্থতায়
লাল আটা ত্বকের সুস্থতায় ভালো কাজ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
লাল আটায় খাদ্য আঁশ রয়েছে, যা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মাংসপেশি গঠনে
লাল আটায় ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে, যা শরীরের মাংসপেশি গঠনে ভূমিকা রাখে। ফলে লাল আটার খাবার খেলে সুঠাম দেহের অধিকারী হওয়া যায়।
অ্যান্টিবডি তৈরিতে
লাল আটায় প্রোটিন রয়েছে, যা দেহের রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে প্রতিরোধ করে অ্যান্টিবডি হিসেবে কাজ করে।