মাগুর মাছের পুষ্টিগুণ
মাগুর মাছের পুষ্টিগুণ অন্যান্য যে কোন মাছের তুলনায় অনেক বেশি।এই মাছে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদানের পরিমাণ অসেক বেশি। এই মাছ আমাদের দেশে প্রায় সকল স্থানে পাওয়া যায়।মাগুর মাছ সাধানরত ডোবা,বিল,হাওয়র,পুকুর,ও জ্বলাবদ্ধ নদীতে বসবাস করে।মাগুর মাছের পুষ্টিগুণ জেনে নিয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম মাগুর মাছে আছে
শক্তি -৮৬ ক্যালরি,
প্রোটিন -১৫ গ্রাম
ক্যালসিয়াম -২১০ মিলিগ্রাম
ফসফরাস – ২৯০ মিলিগ্রাম
আয়রন- শূন্য দশমিক ৭ মিলিগ্রাম ।
মাগুর মাছের উপকারিতা প্রর্যাপ্ত
সাধারনত এ মাছ বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। তবে এ মাছের ঝোল রান্না রোগীর খাদ্য হিসাবে কাজ করে।এই মাছে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে।আয়রন আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। শরীরে রক্ত স্বপ্লতা দেখা দিলে অনেক ডাক্তার রোগীকে শিং ও মাগুর মাছ খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এছাড়া মাগুর ও জিওল মাছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম রয়েছে। আর ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাতের জন্য উপকারি উপাদান। ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত শক্ত ও দৃঢ় করে যা আমরা মাগুর মাছ থেকে অতি সহজে পেতে পারি।যে সব রোগী ক্যালসিয়ামে ভূগসেন তারা নিয়মিত শিং ও মাগুর মাছ খেলে এই ক্যালসিয়ামের ঘারতি পূরন হবে। নিয়মিত শিং ও মাগুর মাছ খেলে কফ, মায়ের দুধ ও শক্তি বাড়ায় এবং শরীরের বাত কমায়।কোন মা সন্তান প্রসবের পরে বুকের দুধ কম হলে তারা শিং ও মাগুর মাছ খেতে পারেন।এতে বুকের দুধ বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। নিয়মিত মাগুর মাছ খেলে শরীর রোগমুক্ত থাকবে।পরিশেষে বলা যায় শিং ও মাগুর মাছের উপকারি অনেক।