ধনিয়া ও ধনিয়া গুড়া’র উপকারিতা
ধনিয়া ও ধনিয়া গুড়া’র আমাদের নিত্য দিনের সংগী এবং আমাদের সবার অনেক প্রয়োজনীয় মসলা বা মসলাজাতীয় উপাদান। ধনিয়ার সঠিক গুনাগুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি; আমরা যতটুকু জানি তার বাহিরেও অনেক অজানা উপকারিতা আছে; আসুন আজকে আমরা ধনিয়া ও ধনিয়া গুড়া’র অজানা গোপন গুরুত্তপূর্ণ কার্যকারিতা জেনে নেই।
তরকারি, সালাদ, স্যুপ সবক্ষেত্রেই ধনিয়া গুড়ার গুনাগুন রয়েছে।
যে কোন তরকারীতে দিলে তার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ধনিয়া তরকারিতে ব্যবহার করলে যেকোন তরকারীর কাচা গন্ধ দূর হয় এবং অনেক সুন্দর একটি সুঘ্রাণ আসবে। সুতরাং শরীরের ত্বক, খাবারের স্বাদ, শরীরের অনেক সুস্থতার জন্য ধনিয়া আমাদের একান্ত কার্যকরী একটি উপাদান।
১। ত্বকের রোগ সারায় বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন, এক্সিমা, চুলকানি, মুখের আলসার ও ঘা সারতে সাহায্য করে।
২। এটি পটাসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফলিক এসিড, মাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের উৎস। সেই সাথে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার নিরাময় করতে পারে।
৩। ধনিয়া বীজ সিদ্ধ করা পানি দিয়ে কলকচি করলে মুখের আলসার দূর হয়। ধনে বীজের সাথে সামান্যে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন, এর সাথে ১ চা চামচ মধু মিশান। এই মিশ্রণটি তকের চুলকানির স্থানে লাগালে খুব দ্রুতো চুলকানি কমে যায়। ধনে বীজে এন্টিসেপ্টিক উপাদান আছে বলে ত্বকের সমস্যা সমাধান করে। প্রতিদিন খাবারে ধনিয়া যোগ করলে ত্বকের উজ্জলতা ফিরে আসে।
৪। ব্রন এর সমস্যা দূর করে- যাদের ত্বক তৌলাক্ত এবং বয়সন্ধিকালে ব্রনের সমস্যা বার বার হয়ে থাকে; ধনের বীজ ব্রনের এধরণের প্রাদুর্ভাব কমাতে সাহায্য করে। ধনের বীজ পেস্ট করে নিয়ে এক চামচ মধু ও এক চামচ হলুদ মেশান। যাদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত তারা এর সঙ্গে মুলতানি মাটি মেশাতে পারেন। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে শুখানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ধনে গুড়ার এন্টিব্যাক্টেরিয়াল গুনাগুনের কারনে ব্রনের প্রাদুর্ভাব কমাতে অনেক কার্যকর।
৫। চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে- হরমোন এর ভারসাম্যহীনতার কারণে হেয়ার ফলিকল দুর্বল হওয়ায়, চুল পরার সমস্যা হয়। ধনে বীজ চুল পড়াতে এবং নতুন চুল গজানো সাহায্য করে। সামান্য পরিমান ধনে গুড়া মিশিয়ে মাথার তালুতে মেসেজ করুন; এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে ।
৬। ঔষুধী গুনাগুন- ধনিয়া গুড়া হজমের জন্য উপকার। এক মুঠো বীজ পানিতে ভিজিয়ে সারাদিন রেখে দিন। পরের দিন সকালে দ্রবণটি ছেকে নিয়ে খালি পেটে খান। বদ হজমের সমস্যা দূর হবে। ধনিয়ায় এন্টিওক্সিডেন্ট থাকাই এটি যকৃত এর ভাল কাজ করে। এবং মল নির্গমনের প্রক্রয়িয়া সাহায্য ডাইজেটীভ এনজাইম উপাদানে হজম প্রক্রিয়া সাহায্য করে।
এছাড়াও ধনে বীজ ঠান্ডা ও ফ্লু দুর করতে সাহায্য করে এবং অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
৭। ডাইবেটিস উপশম- নিয়মিত ধনিয়া ব্যবহারে একমাসে ১০কেজি ওজন কমায় ও এবং অনাকাংখিত চর্বি কমায়। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ও রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে।
আসুন আমি আপনি আমরা সবাই আজ থেকে ধনিয়া বীজ বা ধনিয়া গুড়া নিয়মিত ব্যবহার করি এবং সুস্থ থাকি।
“ফিহা’স ফুড” আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে কেমিক্যাল ফ্রি ধনিয়া ও ধনিয়ার গুড়া। অর্ডার করার জন্যে আমাদের পেজে মেসেজ করুন।