মরিচ অতি পরিচিত মসলা। মরিচের আদি নিবাস মেক্সিকো হলেও বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এর চাষ হয়ে থাকে। মরিচ শত শত বছর আগে থেকে রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন মানুষ বাটা মরিচের পরিবর্তে বাজারে পাওয়া যায় এমন প্যাকেট জাত গুঁড়া মরিচ রান্নার কাজে ব্যবহার করছে। এই মশলার উপকরণটি আমাদের দক্ষিন এশিয়ার সংস্কৃতি, ধারা, অনুষ্ঠান-পর্বের সাথে আত্মিক ভাবে জড়িত। আমরা বগুড়া থেকে অর্গানিক উপায়ে চাষকৃত উৎকৃষ্ট মানের লাল মরিচ সরাসরি সংগ্রহ করে নিজস্ব ল্যাবেরটরিতে নিয়ে আসি। তারপর সেগুলোকে বাছাই করে নিজস্ব মেশিনে চূর্ণ করি। এই কারণে আমরা আপনাদের এই মরিচ গুঁড়ার স্বকীয়তা, গুণগত মান, মূল্য এবং সব ধরণের বিষমুক্ততার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি।
শুকনো মরিচ ছাড়া রান্নায় যেন ঠিক স্বাদ আসে না। তবে অনেকেই ভাবেন, বেশি শুকনো মরিচ খেলে নাকি পাকস্থলীতে ক্যান্সার হয়। কিন্তু এটা পুরোটাই ভুল ধারণা। বরং সুস্বাস্থ্যের জন্য শুকনো মরিচের হাজারো গুণাগুণ রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শুকনো মরিচের উপকারিতার কথা-
১) ইমিউনিটি বাড়ায়- শুকনো মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-A ও C থাকে। প্রতিদিন যদি কেউ শুকনো মরিচ খায়, তবে তার নাসিকাপথ পরিষ্কার থাকবে। অন্ত্র, মূত্রনালী ও ফুসফুসে কোনো সংক্রমণ হবে না।
২) ব্যথার উপশম- আর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথায় শুকনো মরিচ দারুণ কাজে দেয়। শুকনো মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন যেকোনো ধরনের মাসল্ পেইন, জয়েন্ট পেইন, অস্টিওআর্থারাইটিসের যন্ত্রণা কমায়।
৩) চোখ ভালো রাখে- শুকনো মরিচে থাকে ভিটামিন-A, যা চোখের জন্য খুব উপকারী। রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। রেটিনার কোষের ক্ষয় আটকায়।
৪) রক্তচাপ কমায়- শুকনো মরিচ কোলেস্টেরল কমায়। প্লেটলেট বা অনুচক্রিকাকে জমাট বাঁধতে দেয় না। রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়। ধমনীকে প্রসারিত করে। হাইপারটেনশন কমায়। যার ফলে কমে রক্তচাপ। কমে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি।